Sylhet MoulaviBazar Sadar.
ডেলিভারি চার্জ: 110
Service৭ দিনে রিটার্ন (বিশেষ শর্ত সাপেক্ষে ৭ দিনে রিটার্ন)
১৯৯৩ সনে যাত্রা শুরু করেছিলো উৎস। “উৎস বাংলাদেশ” এমন একটি সমাজের স্বপ্ন দেখে, যেখানে সকল শিশু নিরাপদ, সুরক্ষিত, সুখী এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে বেড়ে উঠবে এবং উন্নততর ভবিষ্যত গড়ার প্রত্যাশী হবে। যার ফলে দেশ পূর্ণ হবে মানব সম্পদে । এমন একটি সমাজ গঠনের জন্য সকল শিশুর মেধা বিকাশের সুযোগ থাকাটা খুবই জরুরী। মেধা বিকাশের প্রধান নিয়ামক হচ্ছে সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকা। সেকারণে, আমরা আমাদের শিক্ষা কার্যক্রমে সবসময়ই সৃজনশীলতাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমাদের দেশে দরিদ্র পরিবারের শিশুদের কারিগরি শিক্ষা কিংবা ননফরমাল এডুকেশনে গুরুত্ব দেয়া হয়। একথা বারংবার প্রমানিত যে- দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অনেকে সৃজনশীল মেধা নিয়ে জন্মায়। কিন্তু সমাজ ব্যবস্থার বৈষম্যমূলক যাতাকলে পড়ে এই শিশুদের মেধা বিকাশ কিংবা প্রকাশ সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। এই বিবেচনায় “উৎস বাংলাদেশ” শ্রেণি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকল শিশুকে নিয়ে ছড়া লিখার কর্মসূচীটি হাতে নেয় । সৃজনশীলতা প্রকাশ পায় এমন কাজকে গুরুত্ব দিয়ে দেয়ালপত্রিকা, মননশীল লেখা, গান, ছবি আঁকার মতো কিছু কাজ করে উৎস বিদ্যা নিকেতন। আমাদের আবাসিক শিশুদের ডায়েরি আছে, সেখানে তারা সুন্দর ছন্দে ছন্দে অনেক কথা লিখেছে। এই বিষয়টি আমাকে খুব আবেগাপ্লুত করলো। একসময় আমরা শিশুদের ছড়া লেখার একটা উৎসবের আয়োজন করলাম। প্রকৃতপক্ষে, আমরা চেয়েছিলাম এই উৎসবে বিভিন্ন স্কুলের শিশুরা অংশগ্রহণ করবে। যখন এই ছড়া লেখা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিলো তখন অনেক ছোট ছোট শিশু এসে আমাদের কাছে ছড়া লিখার পদ্ধতি জানার জন্য আবদার করে। কোমলমতি শিশুরা যেমন খুশি তেমনিভাবে যা-ই লিখেছে আমরা সেগুলোকেই গ্রহণ করেছি, তাদেরকে উৎসাহীত করার প্রয়াস করেছি। একসময় লক্ষ্য করলাম, ছড়া লেখার উৎসবকে কেন্দ্র করে শিশুরা বিভিন্ন ধরণের ছড়া পড়তে শুরু করে দিলো। অভিভাবকগণও শিশুদের ছড়ার বই কিনে দিলেন। এই বিষয়গুলো আমাকে খুবই আশান্বিত করেছে। মনে হলো- বই বিমুখ এই সময়ে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস শিশুদের বইয়ের প্রতি দারুণভাবে আকর্ষিত করে তুলছে। ছড়া লেখার এই উৎসবে অত্যন্ত গুণী কিছু ব্যক্তির সম্পৃক্ততা রয়েছে; আমরা তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। প্রখ্যাত ছড়াকার জনাব রফিকুল হক দাদুভাই, কবি জনাব কাজী রোজি, শিশু সাহিত্যিক এবং মুক্তিযোদ্ধা জনাব আলম তালুকদার, বিশিষ্ট ছড়াকার এবং পরিচালক বাংলাদেশ শিশু একাডেমী জনাব আনজীর লিটন, জনাব অভিজিৎ চৌধুরী, পরিচালক, বারিন্দ মিডিয়া লিঃ, দুরন্ত টিভি, শিশু সাহিত্যিক এবং গীতিকবি আসলাম সানি, কবি এবং ছড়াকার রিফাত নিগার শাপলা, কবি-সাংবাদিক এবং গীতিকার জনাব সুজন হাজং ছড়া লেখার উৎসবে উপস্থিত হয়ে আমাদের আয়োজনটিকে মাধুর্যময় করে দিয়েছেন। এই আয়োজনকে সাফল্যমণ্ডিত করতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আমাদেরকে সহযোগিতা করেছেন- মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, নাদেজদা ফাতেমা শিখা, মজুমদার হিয়াম হাবিব, মোঃ সাখাওয়াত হোসেন নিবির। তাঁদের প্রতিও রইলো কৃতজ্ঞতা। আমাদের কর্মসূচীকে সফল করতে কর্মী এবং সদস্যদের ভূমিকাও ছিলো গুরুত্বপূর্ণ। গুণগত সাহিত্যমান নয় বরং চর্চার ক্ষেত্র তৈরি করাই এই আয়োজনের প্রধান লক্ষ্য। আর তেমনই কিছু ক্ষেত্র এখানে তৈরি করতে পেরেছি বলে আমরা সত্যিই আনন্দিত। এই ক্ষুদে ছড়াকারদের লেখাগুলো ছাপার অক্ষরে বই আকারে প্রকাশ করতে পেরে আমরা তৃপ্ত। সর্বোপরি, সকলের গঠনমূলক পরামর্শ আমাদের এই উদ্যোগকে উৎসাহিত করবে, এমনটাই আশা করি । পাশে থাকবেন সবসময়। -মাহবুবা আক্তার মাহমুদ
বঞ্চিত, অবহেলিত, প্রান্তিক শিশুদের জন্য একটি আবাসিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ১৯৯৩ সনে উৎস বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করে। প্রতিটি শিশুর জন্য একটি নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিত করার স্বপ্ন নিয়ে কয়েকজন মানবাধিকার কর্মী এই প্রতিষ্ঠানটির ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। উৎস বিশ্বাস করে- স্থানীয় সম্পদ এবং জনগণই উন্নয়নের মূল শক্তি” আর এই প্রত্যয় নিয়ে স্পন্সর সংগ্রহ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যাকাত এবং নিজস্ব আয়বৃদ্ধিমূলক কর্মসূচীর মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত হতে উদ্বুদ্ধ করা হয়ে থাকে । বর্তমানে উৎস বাংলাদেশ একটি অনাবাসিক, একটি আবাসিক এবং ৫ টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালনার মাধ্যমে ৫৩৫ জন শিশু শিক্ষা লাভের সুযোগ পাচ্ছে।